বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক’শ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা৷ সোমবার তাদেরকে খাবার এবং স্লিপিং ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের আইওএম ৷ গত কয়েক মাস ধরে, শরণার্থীদের অনেকেই সেখানকার একটি জঙ্গলে মানবেতর পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন ৷ কেমন আছেন তারা তা জানতে সেখানে আছেন সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলাম ও অনুপম দেব কানুনজ্ঞ৷
রোববার সকালে তারা জঙ্গলে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ সরাসরি তাদের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন ফেসবুক লাইভে ৷ বাংলার ওয়েবসাইটেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে৷ সেখানে অবস্থানরতরা জানিয়েছেন তাদের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা৷ কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে রোববার পর্যন্ত তারা কোন সহযোগিতা পাননি বলে জানান৷
তবে সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএম এর একটি দল শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা দিয়েছেন৷ দেয়া হয়েছে খাবার ও স্লিপিং ব্যাগ৷ বাংলাদেশিসহ প্রায় ৬০০ জনকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ আব্দুল হান্নান নামে একজন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এর আগে আমরা কখনও এরকম সহযোগিতা পাইনি৷ এই প্রথম দেয়া হয়েছে৷’’ তবে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও সেখানকার আইওএম এর কর্মীরা ডয়চে ভেলেকে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি৷
উল্লেখ্য ভেলিকা ক্লাদুসায় আইওএম এর একটি আশ্রয় ক্যাম্প রয়েছে৷ তবে সেখানে ঢুকার অনুমতি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন জঙ্গলে এবং পাশের একটি পরিত্যাক্ত কারখানায় আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিরা৷ তারা প্রত্যেকেই মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ হয়ে এসেছেন বসনিয়াতে৷ উদ্দেশ্য ক্রোয়েশিয়া হয়ে ইটালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের কোন দেশে অভিবাসী হওয়া৷ কিন্তু সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়া পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন ডয়চে ভেলের সংবাদকর্মীদের কাছে৷ ইউরোপে আসার জন্য দালালদের কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা৷
All rights reserved © Use of website without any written permission illegal
Leave a Reply